সিরাজগঞ্জ জেলাতে শীতের প্রকোপ দিন দিন বেড়ে চলেছে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু না হলেও ভোরে ঘন কুয়াশা আর রাতভর শিশিরে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। যমুনা নদী বেষ্টিত বিরাট চরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও প্রকট, যেখানে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন ঠান্ডার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন।
চরবাসীরা জানান, নদী তীরবর্তী হওয়ায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হয় এবং নিয়মিত নৌপথে চলাচল করতে গিয়ে শীতে নাকাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার কাজীপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালি ও সদর উপজেলার শতাধিক চরে তীব্র শীত জনজীবনকে স্থবির করে দিয়েছে।
ঠান্ডার কারণে অনেক দিনমজুর কাজে যেতে পারছেন না, ফলে পরিবার নিয়ে তারা চরম সংকটে পড়েছেন বলেও অনেকে জানান।
কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চরাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চরম শীতে দুর্ভোগে আছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ভুগছেন। এখনো সরকারি কোনো শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।’
শীত বাড়ার সাথে সাথে জেলার হাসপাতালগুলোতেও রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া–এ ধরনের শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আবু সাইদ জানান, ‘শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগী বাড়ছে। বর্তমানে হাসপাতালের শিশুবিভাগে শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।’
হাসপাতাল পরিচালক ডা. আকিকুন নাহার বলেন, ‘শিশুসহ সব বয়সী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অভিভাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
শীতের অগ্রগতির সাথে সাথে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।
Tags: শীতকাল, সিরাজগঞ্জের আবহাওয়া