হঠাৎ শুরু হওয়া ঘূর্ণিবাতাসে সিরাজগঞ্জের কয়েক গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত
সিরাজগঞ্জ ইনফো
আপডেট সময়
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫
হঠাৎ শুরু হওয়া ঘূর্ণিবাতাসে সিরাজগঞ্জের কয়েক গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চরচিলগাছা, চিলগাছা, বাহুকা ও ইটালি গ্রামে মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের ঘূর্ণিবাতাসে (টর্নেডো) ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বাহুকা গ্রামের বাসিন্দা রহিম মিয়া বলেন, কিছু বোঝার আগেই ঘূর্ণিঝড়ে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে আছি৷ চিলগাছা গ্রামের কৃষক মনু খান বলেন, ঘরের চাল তো উড়ে গেছেই। সঙ্গে সঙ্গে ফসলি জমিও শেষ। অতর্কিত ঝড়ে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। চরচিলগাছা গ্রামের সোহাগ মন্ডল বলেন, হঠাৎ ঝড়ে আমাদের বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। পরে প্রায় ২০০ মিটার দূর থেকে সেই চাল উদ্ধার করে নিয়ে আসছি। রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, অসংখ্য টিনশেড ঘর ও গাছপালা ধসে পড়েছে। কিছু ঘর উড়ে গেছে অনেক দূরে। রাস্তায় গাছ পড়ে যাওয়ায় চলাচল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়ে এলাকার আবাদি জমির ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে দেখলাম, তিন গ্রামের (চরচিলগাছা, চিলগাছা, বাহুকা) ২০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি পরিবারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ইটালি গ্রামে গিয়ে সেটার বিষয়ে বলতে পারব।
150
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চরচিলগাছা, চিলগাছা, বাহুকা ও ইটালি গ্রামে মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের ঘূর্ণিবাতাসে (টর্নেডো) ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বাহুকা গ্রামের বাসিন্দা রহিম মিয়া বলেন, কিছু বোঝার আগেই ঘূর্ণিঝড়ে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে আছি৷
চিলগাছা গ্রামের কৃষক মনু খান বলেন, ঘরের চাল তো উড়ে গেছেই। সঙ্গে সঙ্গে ফসলি জমিও শেষ। অতর্কিত ঝড়ে নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
চরচিলগাছা গ্রামের সোহাগ মন্ডল বলেন, হঠাৎ ঝড়ে আমাদের বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। পরে প্রায় ২০০ মিটার দূর থেকে সেই চাল উদ্ধার করে নিয়ে আসছি।
রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, অসংখ্য টিনশেড ঘর ও গাছপালা ধসে পড়েছে। কিছু ঘর উড়ে গেছে অনেক দূরে। রাস্তায় গাছ পড়ে যাওয়ায় চলাচল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়ে এলাকার আবাদি জমির ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে দেখলাম, তিন গ্রামের (চরচিলগাছা, চিলগাছা, বাহুকা) ২০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি পরিবারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ইটালি গ্রামে গিয়ে সেটার বিষয়ে বলতে পারব।