প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে আসে সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ এ -৩ এ। তবে সবাই যে শহরের বাসিন্দা, তা কিন্তু নয়—একটি বড় অংশ আসে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে, এমনকি অন্যান্য জেলা থেকেও বহু মানুষ এখানে ভিড় জমায়। তাদের কেউ কেউ আসে পিকনিকে অংশ নিতে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে এখানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড মূলত যমুনা নদী শাসনের উদ্দেশ্যে এই বাঁধগুলো নির্মাণ করেছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এটি এখন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মানুষ এখানে এসে উপভোগ করে প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধারও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনকি শৌচাগার ও স্যানিটেশনের মতো জরুরি ব্যবস্থাও অপ্রতুল। ঝড়-বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো নিরাপদ স্থানেরও অভাব রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু বখাটের উৎপাত। সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, ছুটির দিনে বাঁধের প্রবেশপথে যানবাহনের তেমন কোনো শৃঙ্খলা থাকে না। ফলে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। যদি চায়না বাঁধ স্থানটিকে পরিকল্পিতভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করা যায়, তাহলে এখান থেকেই সৃষ্টি হতে পারে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। যা সিরাজগঞ্জ জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যথাযথ দৃষ্টি দেবেন।
67
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে আসে সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ এ -৩ এ। তবে সবাই যে শহরের বাসিন্দা, তা কিন্তু নয়—একটি বড় অংশ আসে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে, এমনকি অন্যান্য জেলা থেকেও বহু মানুষ এখানে ভিড় জমায়। তাদের কেউ কেউ আসে পিকনিকে অংশ নিতে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে এখানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মূলত যমুনা নদী শাসনের উদ্দেশ্যে এই বাঁধগুলো নির্মাণ করেছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এটি এখন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মানুষ এখানে এসে উপভোগ করে প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধারও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনকি শৌচাগার ও স্যানিটেশনের মতো জরুরি ব্যবস্থাও অপ্রতুল। ঝড়-বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো নিরাপদ স্থানেরও অভাব রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু বখাটের উৎপাত।
সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, ছুটির দিনে বাঁধের প্রবেশপথে যানবাহনের তেমন কোনো শৃঙ্খলা থাকে না। ফলে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
যদি চায়না বাঁধ স্থানটিকে পরিকল্পিতভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করা যায়, তাহলে এখান থেকেই সৃষ্টি হতে পারে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। যা সিরাজগঞ্জ জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যথাযথ দৃষ্টি দেবেন।