শাহজাদপুরে প্রবাসী যুবক হত্যা রহস্য উন্মোচন, জড়িত ৫ জন গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জ ইনফো
আপডেট সময়
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫
শাহজাদপুরে প্রবাসী যুবক হত্যা রহস্য উন্মোচন, জড়িত ৫ জন গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চর কৈজুরী গ্রামে প্রবাসী যুবক সিরাজুল ইসলাম (২৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের ওসি একরামুল হোসাইন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ওই গ্রামের আল আমিন মণ্ডল (৩৮), সেলিম মণ্ডল (৩২), ওমর ফারুক (৩৮), আমিরুল ইসলাম (৩৩) এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর প্রামানিক (৫৫)। এদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত সিরাজুলের মা তার মাদকাসক্ত ছেলেকে পরিবারের জন্য বোঝা মনে করতেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসামিরা তাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে মায়ের কাছ থেকে ছেলেকে কিনে নেয়। এরপর গত ২৮ অক্টোবর রাতে ওই যুবককে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। পরদিন ভোরে পূর্ব চর কৈজুরী গ্রামের একটি মাঠ থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের বিশেষ টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। পরে তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা জানান, স্থানীয় মুসা মণ্ডল ও গফুর প্রামানিক গোষ্ঠী এবং খোকন মাস্টার (চেয়ারম্যান) গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। ২০২১ সালের একটি হত্যা মামলার পর দুই পক্ষের মধ্যে সাড়ে ৩১ লাখ টাকায় আপস হয়। তবে বকেয়া টাকা নিয়ে নতুন করে বিরোধ দেখা দিলে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য সিরাজুলকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ অক্টোবর রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে আটক রাখা হয় এবং পরে শ্বাসরোধ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
59
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চর কৈজুরী গ্রামে প্রবাসী যুবক সিরাজুল ইসলাম (২৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের ওসি একরামুল হোসাইন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ওই গ্রামের আল আমিন মণ্ডল (৩৮), সেলিম মণ্ডল (৩২), ওমর ফারুক (৩৮), আমিরুল ইসলাম (৩৩) এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর প্রামানিক (৫৫)। এদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত সিরাজুলের মা তার মাদকাসক্ত ছেলেকে পরিবারের জন্য বোঝা মনে করতেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসামিরা তাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে মায়ের কাছ থেকে ছেলেকে কিনে নেয়। এরপর গত ২৮ অক্টোবর রাতে ওই যুবককে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। পরদিন ভোরে পূর্ব চর কৈজুরী গ্রামের একটি মাঠ থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশের বিশেষ টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। পরে তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তারা জানান, স্থানীয় মুসা মণ্ডল ও গফুর প্রামানিক গোষ্ঠী এবং খোকন মাস্টার (চেয়ারম্যান) গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। ২০২১ সালের একটি হত্যা মামলার পর দুই পক্ষের মধ্যে সাড়ে ৩১ লাখ টাকায় আপস হয়। তবে বকেয়া টাকা নিয়ে নতুন করে বিরোধ দেখা দিলে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য সিরাজুলকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ অক্টোবর রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে আটক রাখা হয় এবং পরে শ্বাসরোধ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।