বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা গবেষণায় সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনের একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ও হেলথ জোন গড়ে তুলতে চিকিৎসক ও বিনিয়োগকারীদের একটি অগ্রগামী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ অক্টোবর বুধবার ইকোনমিক জোনের ঢাকা অফিসে এ বৈঠক হয়েছে।
ইকোনমিক জোনের হাসপাতালটি হবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য উন্নত চিকিৎসা, গবেষণা এবং স্বাস্থ্যসেবার আধুনিক কেন্দ্র। এই উদ্যোগকে দেশের স্বাস্থ্য খাতের এক অনুপ্রেরণামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই মহতি উদ্যোগটি পরিকল্পনায় দেশের নামকরা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ সক্রিয় সম্পৃক্ততার একটি যৌথ স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে এসেছেন—সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে একটি বিশ্বমানের হেলথকেয়ার ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে।

যেসব বিশিষ্ট চিকিৎসক এই উদ্যোগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রফেসর ডা. মো. শফিকুল ইসলাম (নিউরোসার্জারি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল), প্রফেসর ডা. এম.জি. আজম (লিভার ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি), ডা. আবু সাঈদ (জেনারেল সার্জন), ডা. মো. শাওন রানা (সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ), মো. মতাসিমুল হাসান শিপলু (সহযোগী অধ্যাপক), ডা. ফারহানা নাশিদ রাখি (থোরাসিক সার্জন), ডা. মো. আবু কাওসার, ডা. মোজ্জাম্মেল ইসলাম (সহকারী অধ্যাপক, ভাইরোলজি), এবং ডা. মো. শাহনাওন বিশ্বাস (রেসিডেন্ট সার্জন, নিউরোসার্জারি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ)।
সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন লিমিটেডের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন, রিয়াজ আহমেদ জাবের এবং উপদেষ্টা মো. শহিদুল ইসলাম। উদ্যোগটির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন টেক্সজেন গ্রুপের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস কে আব্দুস সালাম এবং মানব মুক্তি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হাবিবুল্লাহ বাহার, যারা সম্ভাব্য সহযোগিতা ও যৌথ বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই যৌথ প্রয়াসের লক্ষ্য হলো সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনকে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য ও মেডিকেল হাবে রূপ দেওয়া, যা শুধু উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে না, বরং দেশে চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও স্বাস্থ্য পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

এরআগে গত ২ অক্টোবর হাসপাতালের জন্য ইকোনমিক জোনের ভেতরে থাকা ২০ একর জায়গা পরিদর্শন করেন চিকিৎসক ও বিনিয়োগকারীদের দল।
Tags: সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন