সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় চলন্ত প্রাইভেটকার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী একদল ডাকাত লুটপাট চালিয়েছে। এ ঘটনায় চালক ও দুই নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা অভিমুখী মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতির পুরো দৃশ্য পাশের একটি প্রাইভেটকার থেকে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন ঢাকার ধানমন্ডির বাসিন্দা ব্যবসায়ী ফজলে রাব্বি। তিনি জানান, দুটি প্রাইভেটকারে বগুড়া মহাস্থানগড় থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন তারা। তার ভাষ্য অনুযায়ী, হঠাৎ প্রায় ১৪-১৫ জনের একটি দল রাস্তায় প্রাইভেটকার থামিয়ে হামলা চালায়। তাদের পরনে ছিল ভাঁজ করা লুঙ্গি, অধিকাংশের গায়ে কোনো পোশাক ছিল না। সবার হাতেই ছিল তিন থেকে চার হাত লম্বা দেশীয় রামদা ও সামুরাই জাতীয় অস্ত্র। তারা গাড়ির কাচ ভেঙে যাত্রীদের ওপর হামলা করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পাশের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। ফজলে রাব্বি বলেন, “আমরাও ভয়ে গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত যমুনা সেতু টোল প্লাজায় গিয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাই। তখন আহতদের বহনকারী প্রাইভেটকারটিও সেখানে পৌঁছায়। পাঁচজনের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।” ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রাইভেটকার থেকে কয়েকজন হাত উঁচিয়ে সাহায্য চাইছিলেন। এ সময় লুঙ্গি পরা এক ডাকাতকে পাঞ্জাবি পরা এক বয়স্ক ব্যক্তিকে আঘাত করতে দেখা যায়। ঘটনাস্থল দিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রাক, একটি যাত্রীবাহী বাস ও আরেকটি প্রাইভেটকার চলে গেলেও কেউ থামেনি। যমুনা সেতু পশ্চিম থানার এসআই মো. আব্দুল কাদের জানান, “প্রাথমিকভাবে শুনেছি প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে ঢিল মারা হয়েছিল। তবে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।” একই থানার আরেক কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, কড্ডার মোড় এলাকায় সাধারণত মানুষের ভিড় থাকে, সেখানে ডাকাতির ঘটনা অসম্ভব। পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনাটি নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা না থাকায় অপরাধীরা সহজেই পালিয়ে যেতে পেরেছে।
105
সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় চলন্ত প্রাইভেটকার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী একদল ডাকাত লুটপাট চালিয়েছে। এ ঘটনায় চালক ও দুই নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা অভিমুখী মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির পুরো দৃশ্য পাশের একটি প্রাইভেটকার থেকে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন ঢাকার ধানমন্ডির বাসিন্দা ব্যবসায়ী ফজলে রাব্বি। তিনি জানান, দুটি প্রাইভেটকারে বগুড়া মহাস্থানগড় থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন তারা।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, হঠাৎ প্রায় ১৪-১৫ জনের একটি দল রাস্তায় প্রাইভেটকার থামিয়ে হামলা চালায়। তাদের পরনে ছিল ভাঁজ করা লুঙ্গি, অধিকাংশের গায়ে কোনো পোশাক ছিল না। সবার হাতেই ছিল তিন থেকে চার হাত লম্বা দেশীয় রামদা ও সামুরাই জাতীয় অস্ত্র। তারা গাড়ির কাচ ভেঙে যাত্রীদের ওপর হামলা করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পাশের অন্ধকারে পালিয়ে যায়।
ফজলে রাব্বি বলেন, “আমরাও ভয়ে গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত যমুনা সেতু টোল প্লাজায় গিয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাই। তখন আহতদের বহনকারী প্রাইভেটকারটিও সেখানে পৌঁছায়। পাঁচজনের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।”
ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রাইভেটকার থেকে কয়েকজন হাত উঁচিয়ে সাহায্য চাইছিলেন। এ সময় লুঙ্গি পরা এক ডাকাতকে পাঞ্জাবি পরা এক বয়স্ক ব্যক্তিকে আঘাত করতে দেখা যায়। ঘটনাস্থল দিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রাক, একটি যাত্রীবাহী বাস ও আরেকটি প্রাইভেটকার চলে গেলেও কেউ থামেনি।
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার এসআই মো. আব্দুল কাদের জানান, “প্রাথমিকভাবে শুনেছি প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে ঢিল মারা হয়েছিল। তবে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।” একই থানার আরেক কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, কড্ডার মোড় এলাকায় সাধারণত মানুষের ভিড় থাকে, সেখানে ডাকাতির ঘটনা অসম্ভব।
পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনাটি নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা না থাকায় অপরাধীরা সহজেই পালিয়ে যেতে পেরেছে।