সিরাজগঞ্জ জেলায় রোপা আমন ধান আবাদে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। জেলার বিভিন্ন মাঠে এখনো চারা রোপণ চলছে, কোথাও আবার আগাম জাতের ধানে আগাছা পরিষ্কার ও সেচ দেওয়ার কাজও জোরেশোরে চলছে। তবে হাতে নগদ টাকার ঘাটতি থাকায় অনেক কৃষক সমস্যায় পড়ছেন, আবার অনেকে আগাম ফসল ভাগাভাগির চুক্তিতে যাচ্ছেন।
জেলা কৃষি অফিস জানায়, এ মৌসুমে সিরাজগঞ্জে ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আবাদ হচ্ছে। কৃষকেরা এবার বেশি ফলনশীল জাতের চারা রোপণ করেছেন।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, আমন মৌসুমে হাতে নগদ টাকা না থাকায় সেচের খরচ ফসলের ভাগ দিয়ে মেটাতে তারা বেশি আগ্রহী। অনেক ক্ষেত্রে জমির ধানের সিকি ভাগ বা চার ভাগের এক ভাগ সেচ বাবদ মেশিন মালিককে দেওয়ার শর্তে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে নগদ অর্থের চাপ কমে যায়।
একজন কৃষক বলেন, “ধান কাটার পর সেচের ভাগ মেটানো সহজ হয়। নগদ টাকা না থাকায় এ ব্যবস্থা আমাদের জন্য ভালো।”
অন্যদিকে, এক সেচ মেশিন মালিক জানান, “প্রায় একশ বিঘা জমিতে আমি পানি সেচ দিচ্ছি। মৌসুমে নিয়মিত সেচ দিতে হয়। এজন্য আমরা চার ভাগের এক ভাগ ধান নিই। তবে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও ভাগ আর বাড়াইনি।” তিনি আরও বলেন, “কৃষকের ফসল নষ্ট হলেও আমরা আলাদা খরচ দাবি করি না।”

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন জানান, এবারের মৌসুমে সিরাজগঞ্জ জেলায় মোট ৭৫ হাজার হেক্টর পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষকেরা রোপা আমন ধানের পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত এখন । আমরা কৃষকদের নানা ধরণের পরামর্শ দিয়ে আসছি।
Tags: রোপা আমন ধান, সেচের কাজ