লিবিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত প্রবাসী নাজমুল ইসলাম (৩০)-এর লাশ মৃত্যুর প্রায় তিন মাস পর অবশেষে দেশে ফিরেছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে তাঁর মরদেহ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বেতুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে স্থানীয় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। নাজমুল ওই এলাকার ব্যবসায়ী লোকমান হোসেনের ছেলে। প্রায় তিন বছর আগে জীবিকার তাগিদে চার লাখ টাকা খরচ করে লিবিয়ায় যান তিনি। গত ২০ জুন ঘরের ভেতর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যান নাজমুল। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মরদেহ দেশে আনতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। স্বজনদের আবেদনের পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছায় লাশ। নিহতের পরিবার জানায়, যে বিদেশি কোম্পানির অধীনে নাজমুল কাজ করতেন, তারা কোনো ক্ষতিপূরণ দেবে না বলে জানানো হয়েছে। নাজমুলের স্ত্রী, আড়াই বছরের এক ছেলে ও বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন। নাজমুলের বোন মোছা. সুমা খাতুন বলেন, "ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে আমরা শোকে ভেঙে পড়েছিলাম। লাশ না পাওয়ায় কষ্টটা আরও বেশি হচ্ছিল। অনেক কষ্টের পর অবশেষে তাকে দাফন করতে পারলাম।" এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের কেউ ঘটনাটি জানতেন না বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ থানার ওসি কে এম মাসুদ রানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হুমায়ুন কবির।
134
লিবিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত প্রবাসী নাজমুল ইসলাম (৩০)-এর লাশ মৃত্যুর প্রায় তিন মাস পর অবশেষে দেশে ফিরেছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে তাঁর মরদেহ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বেতুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে স্থানীয় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
নাজমুল ওই এলাকার ব্যবসায়ী লোকমান হোসেনের ছেলে। প্রায় তিন বছর আগে জীবিকার তাগিদে চার লাখ টাকা খরচ করে লিবিয়ায় যান তিনি। গত ২০ জুন ঘরের ভেতর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যান নাজমুল। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মরদেহ দেশে আনতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। স্বজনদের আবেদনের পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছায় লাশ।
নিহতের পরিবার জানায়, যে বিদেশি কোম্পানির অধীনে নাজমুল কাজ করতেন, তারা কোনো ক্ষতিপূরণ দেবে না বলে জানানো হয়েছে। নাজমুলের স্ত্রী, আড়াই বছরের এক ছেলে ও বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন।
নাজমুলের বোন মোছা. সুমা খাতুন বলেন, “ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে আমরা শোকে ভেঙে পড়েছিলাম। লাশ না পাওয়ায় কষ্টটা আরও বেশি হচ্ছিল। অনেক কষ্টের পর অবশেষে তাকে দাফন করতে পারলাম।”
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের কেউ ঘটনাটি জানতেন না বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ থানার ওসি কে এম মাসুদ রানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হুমায়ুন কবির।