সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আগাম ফুলকপি চাষে নেমেছেন কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যেই জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণের কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি শীতকালীন মৌসুমে এক হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ করা হবে। এর মধ্যে ফুলকপি আবাদ হবে ১৯২ হেক্টরে। উপজেলার নাগরৌহা গ্রামের মাঠে দেখা যায়, কৃষক আছমত প্রামাণিক ও মেহের আলী প্রামাণিক নিজেদের বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করছেন। কৃষক মেহের আলী প্রামাণিক জানান, তিনি বিঘা দুয়েক জমিতে ফুলকপির আবাদ করবেন। এর মধ্যে প্রায় ২৫ শতক জমিতে ইতোমধ্যেই চারা রোপণ শুরু করেছেন। উন্নত জাতের বীজ কিনে এনে তিনি বীজতলা তৈরি করেন এবং সেই চারা জমিতে লাগাচ্ছেন। একই গ্রামের আছমত আলী প্রামাণিকও প্রায় এক বিঘা জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ মৌসুমে নাগরৌহা গ্রামের আরো কয়েকজন কৃষক জমি তৈরি করছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তারা জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ শুরু করবেন। কৃষকদের আশা, আগাম চাষে ভালো দাম পাওয়া যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, চলমান খরিপ-২ মৌসুমে উপজেলায় ২৭৫ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। কৃষকরা উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করছেন এবং আগাম সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তিনি আরও জানান, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের দাবি, আগাম সবজি চাষ করলে বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে ক্ষতির শঙ্কাও থাকে। তাই কৃষি বিভাগ যদি সার, কীটনাশক ও আধুনিক প্রযুক্তি সহজলভ্য করে, তাহলে কৃষকরা আরও উৎসাহিত হবেন আগাম চাষে।
148
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আগাম ফুলকপি চাষে নেমেছেন কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যেই জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণের কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি শীতকালীন মৌসুমে এক হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ করা হবে। এর মধ্যে ফুলকপি আবাদ হবে ১৯২ হেক্টরে।
উপজেলার নাগরৌহা গ্রামের মাঠে দেখা যায়, কৃষক আছমত প্রামাণিক ও মেহের আলী প্রামাণিক নিজেদের বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করছেন। কৃষক মেহের আলী প্রামাণিক জানান, তিনি বিঘা দুয়েক জমিতে ফুলকপির আবাদ করবেন। এর মধ্যে প্রায় ২৫ শতক জমিতে ইতোমধ্যেই চারা রোপণ শুরু করেছেন। উন্নত জাতের বীজ কিনে এনে তিনি বীজতলা তৈরি করেন এবং সেই চারা জমিতে লাগাচ্ছেন। একই গ্রামের আছমত আলী প্রামাণিকও প্রায় এক বিঘা জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ মৌসুমে নাগরৌহা গ্রামের আরো কয়েকজন কৃষক জমি তৈরি করছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তারা জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ শুরু করবেন। কৃষকদের আশা, আগাম চাষে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, চলমান খরিপ-২ মৌসুমে উপজেলায় ২৭৫ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। কৃষকরা উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করছেন এবং আগাম সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তিনি আরও জানান, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
কৃষকদের দাবি, আগাম সবজি চাষ করলে বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে ক্ষতির শঙ্কাও থাকে। তাই কৃষি বিভাগ যদি সার, কীটনাশক ও আধুনিক প্রযুক্তি সহজলভ্য করে, তাহলে কৃষকরা আরও উৎসাহিত হবেন আগাম চাষে।